শিরোনাম
লাকসাম প্রতিনিধি :: | ০১:৫৫ পিএম, ২০২১-০৫-০৪
মহামারী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কঠোর লকডাউন চলাকালে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুমিল্লার বৃহত্তর লাকসাম পৌর শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের বিপনী বিতানগুলো নতুন সাজে সেজেছে নানা ব্র্যান্ডের বাহারী ঈদ পোশাকে। কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অস্থির কেনাকাটায় পণ্যের বাজার । মহামারী করোনা যেনো জনতার ঢলের কাছে হার মেনেছে। স্থানীয় প্রশাসন কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থবিধি মানতে নানা কৌশলে মানুষকে সচেতন করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ক্রেতাদের একাধিক সূত্র জানায়, মহামারী করোনার আতংক এবং রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও এ অঞ্চলের সবকটি বিপনী বিতাণে জমে উঠেছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে নানা শ্রেণির ক্রেতাদের সমাগম। দেশীয় পোশাকের চাইতে বিদেশী হরেকরকম ব্র্যান্ডের বাহারী পোশাকে প্রতিটি দোকানে সয়লাব আর ধীরে ধীরে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে। বিপনী বিতাণগুলোতে কটন, খাদি, ভাটিকা, বেক্সি ফেব্রিক্স, সিল্কসহ দেশি-বিদেশী নানাহ নকশা ও কারুকাজের তৈরী পোশাকের পাশাপাশি ভীন দেশীয় ত্রিপিচ-বাহুবলি-১, বাহুবলি-২, সর্বমঙ্গলা, সরোজা ও হুররামসহ একাধিক নামের পোশাকের কদর বেশি ক্রেতাদের। তারপরও মহামারী করোনাসহ নানা প্রতিকূলতায় ভালো ব্যবসার আশায় নতুন নতুন ডিজাইনের বাহারী পোশাকে বিপনী বিতানগুলোর দোকানগুলোতে সাজানো হয়েছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, চলমান লক ডাউনের কারণে নানা অজুহাতে এলাকার কোন কোন বিপনী বিতানে গত বছরের চেয়ে এবার সবচেয়ে দামবেশি ধরা হয়েছে দেশীয় নানাহ বাহারী পোশাকের। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের পাঞ্চাবী, ফতুয়া, থ্রিপিচ, বড়দের পাঞ্জাবী, থ্রিপিচ, টুপিচ, শাড়ী কাপড় বেশি কিনছে ক্রেতারা। এছাড়া ভারত সীমান্তের চোরা দরজাগুলো দিয়ে প্রকাশ্যে চোরাপথে আসা এ অঞ্চলের হাট-বাজার বিভিন্ন ভারতীয় পণ্যে সয়লাব হয়ে বেচাকেনায় প্রস্তুত দোকানীরা। এমনিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চল। ফলে এলাকায় খরা, তাপদাহ, ঘূর্ণিঝেড়র আশংকা লেগেই আছে। তাই বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে অনেকটা ভাটা পড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র জানায়।
অপরদিকে, এ অঞ্চলে চোরাচালানী তৎপরতায় দেশের ঐতিহ্যবাহী পূর্বাঞ্চলীয় জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, সদর দক্ষিণ, লালমাই, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাসহ রেলওয়ে জংশন অবৈধ চোরাচালান ব্যবসার ট্রানজিট রুট হিসাবে বর্তমানে সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করে চলেছে। পূর্বাঞ্চলীয় চোরাচালান রুট গুলো হচ্ছে কুমিল্লা হতে সালদা নদী, ফেনীর পশুরাম, নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথ ছাড়াও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এখন চোরাচালান ব্যবসায় আলোচিত এক ভারতীয় পন্যের সাম্রাজ্যের নাম।
এ ব্যাপারে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির একাধিক ব্যবসায়ী নেতা জানায়, এ অঞ্চলের সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীরা প্রকৃতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। বর্তমান মহামারী করোনাসহ নানা কারনে গ্রামীণ অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়ায় ধারদেনা ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে মালামাল তুলতে হয়েছে। বিক্রি কিছুটা শুরু হলেও এখনও ভালো ভাবে জমে উঠেনি। তবে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ক্রেতা সমাগম ও বেচাকেনা বাড়বে বলে অপেক্ষায় আছি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ৩০ জনের তালিকা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মেট্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তবে তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ ...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : কাপড়ে পেস্টিং করে কম্বলের ভেতরে মুড়িয়ে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছে শাহ আমানত বিমানবন্দরের ...বিস্তারিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে হাসান (২৬) নামে এক বাংল...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ীতে দৈনিক আমাদের বাংলা ও আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের সম্পা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited